বিমানবন্দরে নেমে যা বললেন ওবায়দুল কাদের

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় বিমানবন্দরে নেমে তিনি বলেন, একজন রাজনীতিবিদের সবচেয়ে বড় অর্জন জণগণের ভালোবাসা পাওয়া, তা আমি পেয়েছি।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান থেকে নেমেই সাংবাদিকদের এই কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এসময় তিনি নতুন উদ্যমে আওয়ামী লীগের পাশে থেকে কাজ করার প্রত্যয় জানান। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৫ মে) বিকাল পাঁচটা ৫৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল(রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করেন।

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের নেতৃত্বে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

এর আগে, বুধবার (১৫ মে) দুপুর ২টায় সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্ট থেকে তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়।

ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তার স্ত্রী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ডা. আবু নাসার রিজভী এবং কিছু সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী রয়েছেন।

সেতুমন্ত্রীর সফরসঙ্গী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ জানান, সেতুমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৮৫ ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় আজ দুপুর দুইটা দশ মিনিটে উড্ডয়ন করে। ওয়ালিদ জানান, দুই মাস ১০ দিন চিকিৎসার পর আজ দেশে ফিরেছেন সেতুমন্ত্রী। বুধবার সকালে তিনি সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের পাশের ভাড়া বাসা থেকে ত্যাগ করেন।

এরপর তিনি চাঙ্গি বিমানবন্দরে পৌছে সেখানে কিছু সময় অপেক্ষা করেন। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি দুপুর ২টা ১০ মিনিটে রওনা হন।

বাইপাস সার্জারির পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদের গত ৫ এপ্রিল ছাড়পত্র পান। তিনি হাসপাতালের কাছেই একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়।

প্রসঙ্গত গত ৩ মার্চ সকালে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের।

সেখানে এনজিওগ্রাম করার পর তার করোনারি ধমনিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। সেদিন তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ দুই মাস তার চিকিৎসা চলে।

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন